Tuesday, December 2, 2008

নাগরিক স্লথের দিনলিপি

কুয়াশায় ঢাকা নিঃসঙ্গ ল্যাম্পপোস্টের মত
এ নগরীর আমি এক নির্বাক প্রহরী ।


জাপানী কাঠপুতুলেরা, জ্ঞানের কুসীদজীবী,
আলকাতরা মাখা চশমাওয়ালা অথবা চন্দ্রগ্রস্তদের
কোলাহলের ধাক্কা আমাকে স্পর্শ করে না ।


যদিও ভাঙনের
শবযাত্রী শব্দেরা ,
আমার চারপাশে আহাজারি করে ফেরে ।

হাসির আড়ালের নোনা জলছাপ,
শতচ্ছিন্ন হৃদয়ের
প্রতিধ্বনি ,
আমার কুইনাইনের কাজ করে ।


মরচে ধরা কলমের গা বেয়ে অস্বস্তির ঘাম নামে,

শীতের আলস্য অসাড় করে তোলে প্রতিনিয়ত ।

শীতনিদ্রার জোগাড়যন্ত করে চলি ...


বিষন্নতার ছাপ খুঁজি, ভাঙা স্বপ্নের টুকরোগুলি

বৃথাই জোড়া লাগাই বারবার, অনবরত ।

তবুও তরল সময় গড়িয়ে চলে ,

বিস্মৃতির ধূলো আরও প্রগাঢ় প্রলেপ ফেলে,
আর আমি স্থবির পাথরের নিঃশব্দতা নিয়ে
ক্ষয় হতে থাকি
ক্রমশ

Friday, September 12, 2008

অন্ধকারের প্রত্যাশায়

প্রতিদিনই মুখোশ চাপাই মুখে
হলুদ, বিবর্ণ,
সস্তা আর ক্ষয়াটে
প্রতিদিনই লড়ে যাই লড়াই,
অমোঘ নিয়তির বাস্তবতার বিরুদ্ধে ।

সন্ধ্যার ছায়াচ্ছন্ন সবজেটে কালো জলে
ডুবসাঁতার দিতে খুব ইচ্ছে করে,
ইচ্ছে করে মুখ রগড়ে মুছে ফেলি
বিষন্নতা, অবসাদ আর মুখোশের রং।

দাসত্বের শেকল আরো আঁটো হয়ে ওঠে
স্বপ্নেরা হয়ে ওঠে আরো নির্মম,
ভোঁতা অনুভূতিরা পরিযায়ী পাখিদের মতন
আবাস গাড়ে মস্তিকের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ।

শরতের শুকনো নদী, কাশফুল, মিঠেকড়া রোদ
কিংবা দূরের ঢাকের বাজনার চেয়ে
শান্ত, গাঢ়, থকথকে অন্ধকারকে মনে হয়
আমার একান্তের, আমার সবচেয়ে কাম্যের ।

Saturday, August 30, 2008

Sonnet XVII (100 Love Sonnets, 1960) By Pablo Neruda

I don't love you as if you were the salt-rose, topaz
or arrow of carnations that propagate fire:
I love you as certain dark things are loved,
secretly, between the shadow and the soul.


I love you as the plant that doesn't bloom and carries
hidden within itself the light of those flowers,
and thanks to your love, darkly in my body
lives the dense fragrance that rises from the earth.


I love you without knowing how, or when, or from where,
I love you simply, without problems or pride:
I love you in this way because I don't know any other way of loving 

but this, in which there is no I or you,
so intimate that your hand upon my chest is my hand,
so intimate that when I fall asleep it is your eyes that close.


----------------------------------------------------------------------------------------
Many years has been passed since i did not read such a marvelous poetry. Is not it awesome?


Tuesday, July 15, 2008

বৃষ্টি এবং পরাবাস্তবতা

তখন নিশুতি রাত...
একটু আগের প্রবল বৃষ্টি
মুমূর্ষু প্রায় ।

আর আমিও তখন
আত্মসমপর্ণ করতে চলেছি
ঢুলুঢুলু চোখের পাতার কাছে ।

হঠাৎই দুঃস্বপ্ন দেখে
জেগে ওঠা কোন পাখির ডাক
আমাকে বিচ্ছিন্ন করে ।

আমি পৌঁছে যাই
তোমার জানালার কাছে,
মাটির সোঁদা গন্ধ কিংবা
নোনা ধরা দেয়ালের চেয়ে তীব্র,
তোমার ঘুমন্ত শরীরের গন্ধ
যেন আমায় জানালা পেরোতে বলে ।
হাত ছোঁয়া দূরত্বের তুমি
তখন যেন যোজন দূরে সরে গিয়ে
আবার নিরুৎসাহিত করে তোলো ।

হাতড়ে খুঁজি সোনার কাঠি, রুপোর কাঠি
কিন্তু কই ?
বৃথাই ইতিউতি খুঁজি
কিন্তু শুন্য হাতে আর কিছু পাইনা।

জানালার গরাদে হয়ত তোমার স্পর্শ ছিল,
তখনকার প্রবল বর্ষণের শব্দে
হয়ত জেগেছিলে তুমি আর
আর্দ্র ভেজা ঠান্ডায় আরো ভাল করে
জড়িয়েছিলে তোমার কাঁথাটা ।

মুখ বাড়িয়ে দিয়েছিলে হয়তোবা
গরাদের দিকে একটু খানি
বৃষ্টির আঁচ পেতে ।

আমি ভাবি আর গরাদকে
আঁকড়ে ধরি নিবিড় ভাবে,
আরো দৃঢ় ভাবে ।

Monday, July 14, 2008

আবছায়া ও আমি...

আজ হঠাৎ কি মনে হল বুদ্ধদেব বসুর "আবছায়া" গল্পটা আবার পড়লাম । গল্পটার প্লটটা অসাধারণ । জীবন বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ । মানুষের আত্মমর্যাদা রক্ষার প্রয়াস, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ছকে বাঁধা জীবন, সীমাবদ্ধতা এসব হয়ত বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিযুক্ত কিন্তু হয়তোবা কোন এক সময় এসব বৃথা বলেই মনে হবে । এক টুকরো কথা অথবা একটু সামান্য নতজানুতা হয়ত জীবনকে পাল্টে দিতে পারত । তবু আমাদের মূঢ়তা আমাদের চিরসঙ্গী । দীর্ঘশ্বাসই হয়ত ভবিষ্যতের সান্ত্বনার পাথেয় হবে ।

Friday, July 4, 2008

বেঁচে থাকা....

গত শুক্রবার আমার রুমমেট আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল । মাইগ্রেনের ঔষধ খেয়েছিল ৪০ টা, তবে আশার কথা ও বেঁচে গেছে । ঠিক সময় মতো ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছিলাম, পেট ওয়াশ করা হল । তবে হাসপাতালে গিয়ে আশ্চর্য অনুভূতি হলো । জরুরী বিভাগে যখন ওকে নিয়ে গেলাম তখন দেখলাম এক বিচিত্র দৃশ্য । সন্ত্রাসীর গুলি খেয়েছে এমন এক লোক, সাপে কাটা এক তরুন, প্রসব বেদনায় কাতর এক যুবতী, অনবরত বমি করে চলেছে এমন এক কিশোর । তাদের চেহারাতে বিস্তর ফারাক, সমাজের নানা শ্রেণীর নানা প্রতিভূ তারা তবুও সবার আকুতি মৃত্যুকে পাশ কাটানোর....

বেঁচে থাকা যে কত আনন্দময় আর কাঙ্খিত তা কিছুটা হলেও ঐ দিন বুঝলাম ।

http://s4.bitefight.org/c.php?uid=145518

http://s4.bitefight.org/c.php?uid=145518