Monday, August 31, 2009

বিষাদের অভিজ্ঞান

বেদনাদের দ্বীপান্তর হচ্ছে।
ক্রমশ,ধীরে ধীরে,
এ নগর থেকে।

অগোত্রীয় কাঠের শ্যাওলা খোলে
অনাহূত আবর্জনা,
অপবিত্র পূঁজের মত
জমা হচ্ছে
নির্ভুল ঐকিক নিয়মে।

আনন্দ,আনন্দ
শুধু অশ্লীল আনন্দ।

আনন্দ,আনন্দ
বিজ্ঞাপন বণিতাদের মুখে,
সংবাদে,চায়ের আড্ডায়,
দাম্পত্যের বিছানায়,
এমনকি আমার একচ্ছত্র জানালায়;
এখন উঁকি দেয়
সাদা দাঁতের বিপ্লবী ক্যানভ্যাসার,
সর্বময় আনন্দের হাসিতে।

বেদনারা চলে যাচ্ছে,
চলে যাচ্ছে
অভিমানে,অবসাদে,
আলস্যের ঘুমের ঘোরে,
আনন্দের কর্কশ কশাঘাতে।

অভিজ্ঞান খুঁজে পেতে
আমি শত ক্রোশ নাগরিক
পদযাত্রায়;
এখনো পাইনি কোনো বেদনার
নিটোল নীল পদ্ম।

পাইনি কোন সুমেধাকে,
যে এসে দাঁড়িয়ে আছে
আটটি পদ্ম হাতে,জনাকীর্ণ নির্জনতায়,
আমারই অপেক্ষায়।

আমি শুধু বেদনাকে পেতে চেয়েছিলাম।

Saturday, August 1, 2009

কনস্ট্রাকশন

শুনে যাই, প্রতিদিনই শুনি;
কংক্রিটের অস্ফুট আস্ফালন,
অযুত নক্ষত্রের মতো গুনি
আমাদের পরিচিত - কনস্ট্রাকশন।

চেনা গলিপথ, সমুদ্র আকাশ
ঢাকে আলকাতরা রঙে;
গুঁড়ো গুঁড়ো পাথুরে নির্যাস,
প্রাগৈতিহাসিক গুহার ঢং-এ।


এখনো খসড়া লেখে গুলাগ দ্বীপেরা,
লেখে বিচ্ছিন্নতার আবাহণ,
(কিংবা প্রাত্যহিক ক্লিশে সোপ-অপেরা )
পটভূমিতে এই কনস্ট্রাকশন।

বুনো-আরণ্যক কৈশোরের স্মৃতিতে,
চড়ে বসে ধবল-ধূসর কাফন।
আর নিখুঁত বিনির্মাণ স্তুতিতে,
গড়ে ওঠে কর্কশ ইস্পাত বন।

আমাদের সলো কোরাস,প্রতি জনে জনে
বেরুতে চায়, হতে চায় মূর্তিমান অনশন,
ছিটকে যায়, ঠিকরে পড়ে, কোণে কোণে।
অটল, স্থির থাকে শুধু, আমাদের প্রিয় - কনস্ট্রাকশন।