এইতো সেদিন সাপ্তাহিক মদ্যপানের আসরে,
আমারই প্রিয় বন্ধু হঠাৎ উঠে দাঁড়ালেন,
সুরার পাত্র ঠেলে, ঋজু তালগাছের দক্ষতায়,
আগাছার দঙ্গল ভেদ করে,
বিদ্রোহী স্পার্তাকাসের স্পর্ধায়।
তবে দৃঢ়তা তাঁর কণ্ঠে ছিলোনা,
চোখে ছিলোনা রক্তজবার জাল,
ছায়াময় পুকুরের নিঃস্তব্ধতা ছিলো ঠিকই,
অথবা নরকের লাভাময় অতলতা
খেলা করেছিল তার শোণিতের কলোনিতে।
অস্ফুট স্বরে তিনি আবৃত্তি করেছিলেন,
সেইসব কবিতার পংক্তিমালা,
অমৃত সেইসব বাণী, স্তব-বিরহের শ্লোকাবলী,
বিলাসী নীল সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে,
অবশেষে নিঁখুত, গাঢ় স্বরে বলেছিলেন-
" আমাদের প্রেমিকারা আর আমাদের নেই "।
বিষাদ কণ্ঠে ঝরে পড়ছিলো কিছু স্মৃতি মালা,
কিছু কুহুক,কিছু চন্দ্রগ্রস্ততা;
এবং আরো কিছু অর্থময় কাব্য-
নীল কাব্য, শুধু প্রেমিকদের কাব্য।
আর আমি প্রবল ভাবে চেয়েছিলাম
আমার প্রিয় বন্ধুর সেই মদিরময় রাতের,
সেই নিহত,কাব্যগন্ধী রাতের সাক্ষ্য দেবে
বিবর্ণ পানশালা,ভাঙা জানালার কাঁচ,
আর জোৎস্নার বিষ পানরত কিছু বিষণ্ণ ঝাউগাছ।
Wednesday, November 4, 2009
Sunday, October 11, 2009
পুরোনো পৃষ্ঠার খোঁজে
শূন্য থেকে ছাতিমের গন্ধ
ফেটে পড়ে,
গলে পড়ে,
আমাদের করে নির্ণিমেষ অন্ধ।
তবুও জলদস্যু ইন্দ্রিয় দেখে ফেলে,
একরঙা দৃষ্টি মেলে
চর্বিত সংবিধান,বয়সের ছাপ।
নিঁখুত পরিমাপ,
পার্ক অ্যাভিনিউ-এর দর্জিদের মত।
আর নিষ্পাপ চোখেরা
বিনিদ্র রাত জেগে জেগে
কখন হয়েছে অতীতের শব,নিহত।
আমাদের শতচ্ছিন্ন রথ
সব প্রতিযোগিতা শেষে,ক্লান্ত শরীরে
খুঁজেছিল অনিঃশেষের পথ।
পথে পথে প্রতিটি মোড়ে
স্তবরত প্রতিটি মূর্খের দিকে তাকিয়ে দেখি,
হাঁপর ফুসফুস,লালাঝরা ওষ্ঠ
অত্যন্ত স্পষ্ট
লাল গোলাপের পাপড়ির মত।
আর ঠিক তখনই বেজে উঠেছিল
পাগলা ঘন্টা মূর্হুমূহু।
ত্রাহি ত্রাহি রবে কেঁপেছিল স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল,
আর দন্ডিত আমাদের আপিল পৌঁছেছিল
বিচারক মহাকাল
সমীপে,আভূমি নত হয়ে,
ভিক্ষা চেয়েছিল সহজিয়া অতীতের পৃষ্ঠাদের।
ফেটে পড়ে,
গলে পড়ে,
আমাদের করে নির্ণিমেষ অন্ধ।
তবুও জলদস্যু ইন্দ্রিয় দেখে ফেলে,
একরঙা দৃষ্টি মেলে
চর্বিত সংবিধান,বয়সের ছাপ।
নিঁখুত পরিমাপ,
পার্ক অ্যাভিনিউ-এর দর্জিদের মত।
আর নিষ্পাপ চোখেরা
বিনিদ্র রাত জেগে জেগে
কখন হয়েছে অতীতের শব,নিহত।
আমাদের শতচ্ছিন্ন রথ
সব প্রতিযোগিতা শেষে,ক্লান্ত শরীরে
খুঁজেছিল অনিঃশেষের পথ।
পথে পথে প্রতিটি মোড়ে
স্তবরত প্রতিটি মূর্খের দিকে তাকিয়ে দেখি,
হাঁপর ফুসফুস,লালাঝরা ওষ্ঠ
অত্যন্ত স্পষ্ট
লাল গোলাপের পাপড়ির মত।
আর ঠিক তখনই বেজে উঠেছিল
পাগলা ঘন্টা মূর্হুমূহু।
ত্রাহি ত্রাহি রবে কেঁপেছিল স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল,
আর দন্ডিত আমাদের আপিল পৌঁছেছিল
বিচারক মহাকাল
সমীপে,আভূমি নত হয়ে,
ভিক্ষা চেয়েছিল সহজিয়া অতীতের পৃষ্ঠাদের।
Thursday, October 1, 2009
স্নায়ু কথন
প্রায়ই অসহ্য লাগে এইসব দিন,
এইসব রূপালি রাত।
স্নায়ু ছিঁড়ে আসে দুর্বল দড়ির মতো পরতের পর পরত,
স্তব্ধ চোখে ঢিল পড়ে,
আর রুগ্ন সেবাসদনের সেবিকারা
অপেক্ষায় থাকে আমারি মতো
অন্য কারুর তরে।
এইসব দিন,এইসব রাতের কাছে
আমার আত্মসমর্পণ,
কেবলই গচ্ছিত আছে।
এইসব রূপালি রাত।
স্নায়ু ছিঁড়ে আসে দুর্বল দড়ির মতো পরতের পর পরত,
স্তব্ধ চোখে ঢিল পড়ে,
আর রুগ্ন সেবাসদনের সেবিকারা
অপেক্ষায় থাকে আমারি মতো
অন্য কারুর তরে।
এইসব দিন,এইসব রাতের কাছে
আমার আত্মসমর্পণ,
কেবলই গচ্ছিত আছে।
Thursday, September 24, 2009
প্রাপ্যতা
এ শহরের বিলবোর্ডেরা অমর নয়,
অক্ষয় নয়,
এমনকি দীর্ঘায়ুও নয়।
নিতান্তই স্বল্পায়ু।
তাই বলে এইসব কিশোরীরাও নারী হবে,
নারীরাও প্রৌঢ়া হবে।
মৃতা হবে
দোমড়ানো মোচড়ানো নীল খামের মতোন।
মৃতা হবে।
তা ভুলেও ভাবিনি কখনো।
অচেনা,উষ্ণ জোয়ার তীব্র হয়,
আবাসিক ঘাটেরা হারায়,
হারায় শিউলী গন্ধ ভোর,
চোরাবালি সম্পর্কেরা থিতু হয়,
স্বপ্নালু বিল্পবীও বাঁধা পড়ে প্রাত্যহিকতায়।
নির্বাক,নির্লিপ্ত হয়ে ওঠে পরিচিত দরজারা,
ঘুণ ধরে আলাপের আড্ডায়,
সবকিছুই সংকুচিত হয়,
মেদহীন,ঈষৎ সংক্ষেপিত বার্তায়।
আমরাও আগের মতোন উতপ্ত নই,
প্রেমার্ত নই,কাব্যিক নই,
আমাদের বুকে শ্যামল প্রান্তর নেই,
রহস্য জোৎস্না নেই,
রূপালি বৃষ্টি নেই।
আমাদের কোন কিছুই নেই।
শুধু চলমান,বিজ্ঞাপিত-এই শোভাযাত্রা ছাড়া।
অক্ষয় নয়,
এমনকি দীর্ঘায়ুও নয়।
নিতান্তই স্বল্পায়ু।
তাই বলে এইসব কিশোরীরাও নারী হবে,
নারীরাও প্রৌঢ়া হবে।
মৃতা হবে
দোমড়ানো মোচড়ানো নীল খামের মতোন।
মৃতা হবে।
তা ভুলেও ভাবিনি কখনো।
অচেনা,উষ্ণ জোয়ার তীব্র হয়,
আবাসিক ঘাটেরা হারায়,
হারায় শিউলী গন্ধ ভোর,
চোরাবালি সম্পর্কেরা থিতু হয়,
স্বপ্নালু বিল্পবীও বাঁধা পড়ে প্রাত্যহিকতায়।
নির্বাক,নির্লিপ্ত হয়ে ওঠে পরিচিত দরজারা,
ঘুণ ধরে আলাপের আড্ডায়,
সবকিছুই সংকুচিত হয়,
মেদহীন,ঈষৎ সংক্ষেপিত বার্তায়।
আমরাও আগের মতোন উতপ্ত নই,
প্রেমার্ত নই,কাব্যিক নই,
আমাদের বুকে শ্যামল প্রান্তর নেই,
রহস্য জোৎস্না নেই,
রূপালি বৃষ্টি নেই।
আমাদের কোন কিছুই নেই।
শুধু চলমান,বিজ্ঞাপিত-এই শোভাযাত্রা ছাড়া।
Saturday, September 19, 2009
কোন এক জলযানের প্রতি পংক্তিমালা
ফেব্রুয়ারির এক শীতল দিনে,
আমি বেড়িয়ে পড়েছিলাম
আমার অতীত,সম্পর্কহীন কৌম থেকে।
আমার গন্তব্য- সেই মহাজনপদ,
যার বাহন প্রাগৈতিহাসিক স্টিমার,
যা সহজেই আক্রান্ত করে
সাবেক,উপনিবেশিক নস্টালজিয়ায়।
রোদে-জলে পোড়া বর্ষিয়ান রেলিং,
বার্মিজ সেগুন ফাটলে,
রঙের পোঁচ পড়েনি বহুদিন,
সাদা,নিস্তব্ধ কেবিনেও আর
আসেনি কোন মধুচন্দ্রিমারত দম্পতি।
কেউ কি লক্ষ্য করেনি ?
কেউ কি দেখেনি চেয়ে ?
কেউ কি করেনি অনুকম্পা ?
এই সামান্য ভারবাহী নৌযানকে!
আমার ক্রমশ মনে হতে থাকে
আমিই এই স্টিমারের একনিষ্ঠ,
একান্ত,নিবিড় পাঠক।
আমিই টুকে নিচ্ছি সহস্র স্মৃতিকোষে
সময়ের পুঞ্জ পুঞ্জ অনুলিপি।
প্রশস্ত মোহনা থেকে উজানের পথে,
ম্লান থেকে ম্লানতর সবুজের দিকে
এইসব পথে ছুটে গেছে
বারবার,আবার,অনবরত
নির্ভুল কম্পাসের নির্দেশে।
এইসব জলজ পথ,যা ছুঁয়েছে
বিবর্ণ মরিচা-রঙা জেটি,
বিদায়প্রজ মানুষের ভীড়,
নাছোড়বান্দা শৈবালস্তুপ,
শীর্ণকায়া ধানসিঁড়ি,
আর ভাগ্যহত শুশুকের কংকাল।
কিন্তু তবুও রাত্রি নেমেছিল।
সেই শীতার্ত ভ্রমণে,
কালো হয়েছিল সবুজেরা,
অনুসরণপ্রিয় গাংচিলেরা হয়েছিল
নিরুদ্দেশ।
শুধু কালো নদীর বুকচেরা
ফেনারা আরো শাদা হয়ে উঠেছিল।
নিঃসঙ্গ শোঁ শোঁ ডেকের আহ্বানে,
আমি বসেছিলাম ব্যবহারজীর্ণ চেয়ারে।
ভুলেছিলাম পার্থিব সময়ের
টিক টিক,
শীতের তীক্ষ্ণ কটাক্ষ,
কিংবা আমার অরক্ষিত কেবিনকে।
হঠাৎই দেখা হয়েছিল,
সেইসব অপার্থিব নৌকাদের সাথে,
হলুদ শুধু হলুদ বাতির
(অন্য কোন রঙের নয়)।
ফুটন্ত খৈ এর মতোন,
অথবা কমলা বোঁটার
শিউলী ফুলের মতোন,
এখানে,ওখানে-
মেঘনার সমস্ত রূপালি,উদোম
নরোম বুক জুড়ে।
রাত কেটেছিল নিস্তরঙ্গ টেউয়ে,
ক্ষয়াটে হলুদ চাঁদ আর
বিরতিহীন ইঞ্জিনের
অপূর্ব,ক্লান্তিহীন প্রগলভতায়।
ভোরও এসেছিল তাঁর অনিবার্যতা নিয়ে।
কুয়াশা মোড়া বন্দরে,
আমার প্রথম পদার্পণেই
ফিরেয়েছিলাম আমার চোখ।
আমিও তাকিয়েছিলাম,
তবে ঠিক অন্যদের মতো নয়,
আরো অবনত দৃষ্টিতে,
আরো তীব্র প্রাবল্যে,
ভারী হয়ে আসা কোটরের
অভিকর্ষতায়।
আমার শীতার্ত,মলিন ঠোঁট
উন্মুক্ত হয়েছিল,
বের হয়েছিল বিবর্ণ,অস্ফুট স্বর।
ভেসে গিয়েছিলো
সেইসব অপরিণত পংক্তিমালা,
তীব্র শীতের মায়াহীন ঘূর্ণিতে।
আমি বেড়িয়ে পড়েছিলাম
আমার অতীত,সম্পর্কহীন কৌম থেকে।
আমার গন্তব্য- সেই মহাজনপদ,
যার বাহন প্রাগৈতিহাসিক স্টিমার,
যা সহজেই আক্রান্ত করে
সাবেক,উপনিবেশিক নস্টালজিয়ায়।
রোদে-জলে পোড়া বর্ষিয়ান রেলিং,
বার্মিজ সেগুন ফাটলে,
রঙের পোঁচ পড়েনি বহুদিন,
সাদা,নিস্তব্ধ কেবিনেও আর
আসেনি কোন মধুচন্দ্রিমারত দম্পতি।
কেউ কি লক্ষ্য করেনি ?
কেউ কি দেখেনি চেয়ে ?
কেউ কি করেনি অনুকম্পা ?
এই সামান্য ভারবাহী নৌযানকে!
আমার ক্রমশ মনে হতে থাকে
আমিই এই স্টিমারের একনিষ্ঠ,
একান্ত,নিবিড় পাঠক।
আমিই টুকে নিচ্ছি সহস্র স্মৃতিকোষে
সময়ের পুঞ্জ পুঞ্জ অনুলিপি।
প্রশস্ত মোহনা থেকে উজানের পথে,
ম্লান থেকে ম্লানতর সবুজের দিকে
এইসব পথে ছুটে গেছে
বারবার,আবার,অনবরত
নির্ভুল কম্পাসের নির্দেশে।
এইসব জলজ পথ,যা ছুঁয়েছে
বিবর্ণ মরিচা-রঙা জেটি,
বিদায়প্রজ মানুষের ভীড়,
নাছোড়বান্দা শৈবালস্তুপ,
শীর্ণকায়া ধানসিঁড়ি,
আর ভাগ্যহত শুশুকের কংকাল।
কিন্তু তবুও রাত্রি নেমেছিল।
সেই শীতার্ত ভ্রমণে,
কালো হয়েছিল সবুজেরা,
অনুসরণপ্রিয় গাংচিলেরা হয়েছিল
নিরুদ্দেশ।
শুধু কালো নদীর বুকচেরা
ফেনারা আরো শাদা হয়ে উঠেছিল।
নিঃসঙ্গ শোঁ শোঁ ডেকের আহ্বানে,
আমি বসেছিলাম ব্যবহারজীর্ণ চেয়ারে।
ভুলেছিলাম পার্থিব সময়ের
টিক টিক,
শীতের তীক্ষ্ণ কটাক্ষ,
কিংবা আমার অরক্ষিত কেবিনকে।
হঠাৎই দেখা হয়েছিল,
সেইসব অপার্থিব নৌকাদের সাথে,
হলুদ শুধু হলুদ বাতির
(অন্য কোন রঙের নয়)।
ফুটন্ত খৈ এর মতোন,
অথবা কমলা বোঁটার
শিউলী ফুলের মতোন,
এখানে,ওখানে-
মেঘনার সমস্ত রূপালি,উদোম
নরোম বুক জুড়ে।
রাত কেটেছিল নিস্তরঙ্গ টেউয়ে,
ক্ষয়াটে হলুদ চাঁদ আর
বিরতিহীন ইঞ্জিনের
অপূর্ব,ক্লান্তিহীন প্রগলভতায়।
ভোরও এসেছিল তাঁর অনিবার্যতা নিয়ে।
কুয়াশা মোড়া বন্দরে,
আমার প্রথম পদার্পণেই
ফিরেয়েছিলাম আমার চোখ।
আমিও তাকিয়েছিলাম,
তবে ঠিক অন্যদের মতো নয়,
আরো অবনত দৃষ্টিতে,
আরো তীব্র প্রাবল্যে,
ভারী হয়ে আসা কোটরের
অভিকর্ষতায়।
আমার শীতার্ত,মলিন ঠোঁট
উন্মুক্ত হয়েছিল,
বের হয়েছিল বিবর্ণ,অস্ফুট স্বর।
ভেসে গিয়েছিলো
সেইসব অপরিণত পংক্তিমালা,
তীব্র শীতের মায়াহীন ঘূর্ণিতে।
Saturday, September 12, 2009
সমুদ্র নির্বাসন
এমনকি আমিও যেতে চাই তাহিতিতে
এইসব নিখুঁত,স্থবির দিন ফেলে,
আদিমতার শুদ্ধ সন্ধানে,অতর্কিতে,
যেখানে এখনো প্রাকৃত হৃদয়ের দেখা মেলে।
সমুদ্রের কুমারী গোপন ঘ্রাণ
শুষে নেবে আমার উতপ্ত নিঃশ্বাস।
মহুয়া তরুনীরা রাঙাবে চারপাশ,
যারা নয় একটুও ম্রিয়মান।
সেই সব আনত,উজ্জ্বল, রঙিন ক্যানভাসে
প্রগাঢ়,আদিম আর উদ্ধত জিজ্ঞাসারা
সওয়ার হবে বিবর্ণ,স্বপ্নিল,ডানাওয়ালা বাসে।
তাহিতির তীরে আমার কুঁড়েঘরে,গলিত অতীতেরা
প্রোথিত হবে। পুড়বে আমার প্রেমিকারা,
তাদের স্মৃতি,চুল,কপোল আর পরিপূর্ণ কষ্টেরা।
এইসব নিখুঁত,স্থবির দিন ফেলে,
আদিমতার শুদ্ধ সন্ধানে,অতর্কিতে,
যেখানে এখনো প্রাকৃত হৃদয়ের দেখা মেলে।
সমুদ্রের কুমারী গোপন ঘ্রাণ
শুষে নেবে আমার উতপ্ত নিঃশ্বাস।
মহুয়া তরুনীরা রাঙাবে চারপাশ,
যারা নয় একটুও ম্রিয়মান।
সেই সব আনত,উজ্জ্বল, রঙিন ক্যানভাসে
প্রগাঢ়,আদিম আর উদ্ধত জিজ্ঞাসারা
সওয়ার হবে বিবর্ণ,স্বপ্নিল,ডানাওয়ালা বাসে।
তাহিতির তীরে আমার কুঁড়েঘরে,গলিত অতীতেরা
প্রোথিত হবে। পুড়বে আমার প্রেমিকারা,
তাদের স্মৃতি,চুল,কপোল আর পরিপূর্ণ কষ্টেরা।
Monday, August 31, 2009
বিষাদের অভিজ্ঞান
বেদনাদের দ্বীপান্তর হচ্ছে।
ক্রমশ,ধীরে ধীরে,
এ নগর থেকে।
অগোত্রীয় কাঠের শ্যাওলা খোলে
অনাহূত আবর্জনা,
অপবিত্র পূঁজের মত
জমা হচ্ছে
নির্ভুল ঐকিক নিয়মে।
আনন্দ,আনন্দ
শুধু অশ্লীল আনন্দ।
আনন্দ,আনন্দ
বিজ্ঞাপন বণিতাদের মুখে,
সংবাদে,চায়ের আড্ডায়,
দাম্পত্যের বিছানায়,
এমনকি আমার একচ্ছত্র জানালায়;
এখন উঁকি দেয়
সাদা দাঁতের বিপ্লবী ক্যানভ্যাসার,
সর্বময় আনন্দের হাসিতে।
বেদনারা চলে যাচ্ছে,
চলে যাচ্ছে
অভিমানে,অবসাদে,
আলস্যের ঘুমের ঘোরে,
আনন্দের কর্কশ কশাঘাতে।
অভিজ্ঞান খুঁজে পেতে
আমি শত ক্রোশ নাগরিক
পদযাত্রায়;
এখনো পাইনি কোনো বেদনার
নিটোল নীল পদ্ম।
পাইনি কোন সুমেধাকে,
যে এসে দাঁড়িয়ে আছে
আটটি পদ্ম হাতে,জনাকীর্ণ নির্জনতায়,
আমারই অপেক্ষায়।
আমি শুধু বেদনাকে পেতে চেয়েছিলাম।
ক্রমশ,ধীরে ধীরে,
এ নগর থেকে।
অগোত্রীয় কাঠের শ্যাওলা খোলে
অনাহূত আবর্জনা,
অপবিত্র পূঁজের মত
জমা হচ্ছে
নির্ভুল ঐকিক নিয়মে।
আনন্দ,আনন্দ
শুধু অশ্লীল আনন্দ।
আনন্দ,আনন্দ
বিজ্ঞাপন বণিতাদের মুখে,
সংবাদে,চায়ের আড্ডায়,
দাম্পত্যের বিছানায়,
এমনকি আমার একচ্ছত্র জানালায়;
এখন উঁকি দেয়
সাদা দাঁতের বিপ্লবী ক্যানভ্যাসার,
সর্বময় আনন্দের হাসিতে।
বেদনারা চলে যাচ্ছে,
চলে যাচ্ছে
অভিমানে,অবসাদে,
আলস্যের ঘুমের ঘোরে,
আনন্দের কর্কশ কশাঘাতে।
অভিজ্ঞান খুঁজে পেতে
আমি শত ক্রোশ নাগরিক
পদযাত্রায়;
এখনো পাইনি কোনো বেদনার
নিটোল নীল পদ্ম।
পাইনি কোন সুমেধাকে,
যে এসে দাঁড়িয়ে আছে
আটটি পদ্ম হাতে,জনাকীর্ণ নির্জনতায়,
আমারই অপেক্ষায়।
আমি শুধু বেদনাকে পেতে চেয়েছিলাম।
Subscribe to:
Posts (Atom)